ঝুলন
…………………
যতই ঝুলন খেলো তুমি
আমি
ঝুলছি না…
ঝুলবারান্দায়… যতই ফুটুক নন্দন কানন…
আকাশলীনায়
ঝুলছে… ঝুলুক… ঝুুলন পূূর্ণিমা…
ঝো-লা-ঝু-লি
ঝুলন ঝুলন খেলায়… মেলায়…
ঝুলন্ত উদ্যানে… পাবে না আমাকে…
কৃষ্ণরাধা
খেলছে… খেলুক… ঝুলন যাত্রায়…
ঝো-লা-ঝু-লি…
ঝুলন ঝুলন খেলা…
শেষে
কালিঝুলিমাখা
সংসারে
ঝুলাবে আমাকে…
তা… হবে না…
য-ত-ই
ঝুলন খেলো
ঝুলন্ত পার্লামেন্টে… পাবে না আমাকে…
বলীদান
…………………………..
রূপকথার গল্পে
বলী ছাড়া
রাজার খনন করা দীঘিতে জল ওঠে না।…
বলেছেন, ঠাকুরমার ঝুলি!
দীঘি, জল আর বলী
এইসব
রূপকের ইশারা!…
বলীপ্রথা
আজও দৃশ্যমান, অন্যরূপে, কি সমাজ, কি রাষ্ট্রে…
এমনই অৎ¯্র বলিদানে
আজো
কানে বাজে, দীঘির দীঘল কথামালা…
জীবনের
বেদীতে দাঁড়িয়ে… গাইছি আজও, কত প্রাণ হল ব-লী-দা-ন…
সম্পর্কপুরাণ
………………………….
জানে
আধার-আধেয়— নদী
ডাকছে তোমাকে… তবুও মরছো লাজে…
নির্জনে
নাইতে এসে
ভাবছ এ বেলা,
জল ছোবে কি ছোবে না…
জলজ ত্বরণে
জানে দেহ— মাতাল ত্বরণী,
আধার
তখনই (আ)নন্দন… কলা… যখনই
জেগে ওঠে জলের উচ্ছ¡াস… মুখরিত মন…
অথবা আধেয়…
চলো
জেনে নিই
ত্বর-ত্বর বয়ে চলা
নদীর শরীরে
জমা আছে কতটুকু জলের কাহিনী…
এই
জেনে নেওয়ার
নৈকট্যে আসার নাম
(মুখের ভাষায় যাকে বলে) সম্পর্কপুরাণ!
নিসর্গনগর
…….
বন
ঘরে আসে না… ঘরে এলে
বন
বন থাকে না… তবে
ঘর
বনে যেতে পারে… নির্মল নিঃশ্বাসে…
ভব-ঘুরেদের কাজ
বনে বনে
শ্রী খোঁজা…
যদি
পৃথিবীটা বন হত
যার মাঝে ছোট ছোট ঘর
করত মিতালি…
সবুজ পাতার সংসারে… ঘরে…
তবে
পেতাম আমরা
নিসর্গনগর…
গহন কুসুম কুঞ্জে…
বৃষ্টিমুখরিত
পাতার নূপুরে বেজে ওঠা মনে
ভেজার আনন্দ…
ভুলে যেতাম বেদনা
ক্লান্তি
যাপনের…
এবং
বলতে পারতাম
চিয়ার্স! পৃথিবী, তুমি খুবই সুন্দর…
আপনাকে প্রয়োজন নেই
…………………………………
জ্বী…
আপনি আধুনিক? বাহ, বেশ ভালো!
সুটেট, বুটেট, টাই, ব্যাকব্রাশ চুল, ক্লিনসেভ, ক্লোজআপ হাসি, ঝকঝকে দাঁত।
(দাঁতের কোথাও লেগে নেই ভোগের স্বাক্ষর, খাদ্যকণা)
হ্যাঁ,
আপনি আধুনিক, বাহ, পোশাকিসভ্যতা!
নামটা,
কি যেন বললেন? ও, মানবিক রায়! সরি, মানবিক রয়! অধ্যাপক।…
তো,
জনাব, বিশেষ আড়ালে পোশাক খুলেন কেন?
ও কি নিরাভরনার পুরোনো সে টান
জ্বী…
আপনি সুধিজন? কী যে বাজে বকছি। সরি।
ঝুলছে মানবিক রশি, গিট লাগানো হাআআআ। ঝুলে পড়বেন,
না ঝুলাবো?
ছাগলের ছানা, তিড়িং বিড়িং লাফ দেয়, দেখে, পায়ের আঘাতে পৃথিবী কাঁপছে কি না!
আপনি ছাগলের ছানা,
(যদিওবা
ছাগল নিরিহ প্রাণি, ঘাস খায়, লতাপাতা খায়, দুধ দেয়, মাংশও দেয়)
চলে যান, ছাগলপাড়ায়। অধুনা সাহিত্যে বিমানবিকরন চলছে!
সরি,
আপনি তো আবার মানুষ। ছাগল না।
কিন্তু,
আন্তর্জাতিক ছাগল।…
কলা
যদিও
এর নাম কাঠালি বা কাটঠইল্যা কলা
কিংবা
বাংলা কলা…
যে নাম’ই হউক
তবে
ইহা শিল্পকলা নয়…
যেহেতু
শিল্পকলা নয়
সুতরাং
একাডেমস্ ও একাডেমী ইহার খবর রাখে না
এবং
ইহার কোন নন্দনতত্ত¡ও নেই…
তাই
শ্রীমান কৃষ্ণ
বলেন
আমি কলা খাই না
কলা খায় রাধা…
দূর থেকে
এসব বয়ান শুনে মিটিমিটি হাসে
কলাবতী ফুল
দেখে
কলাভবনের
পিছনে
পুকুরের জলে
চৌষট্টি কলায় ফোটছে আনন্দে
পদ্মবিশ্ববিদ্যালয়…