প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপপ্রচারণার বিরুদ্ধে
একলা এক লেখকের জবাব (ফেসবুক পোস্ট ১১/০৪/২০২৩)
‘সরলরেখা’ ও ‘চারবাক’ এর গুরুত্বপূর্ণ লেখক ফয়েজ আলম। বাঙালির জাতিত্ববোধ, ভাষা, সংস্কৃতি ও ভাবজগতের ঐতিহাসিক বিবর্তন ও স্বাধীন বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে লিখছেন অনেকদিন ধরে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারণা চালিয়ে পোস্ট দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী জনৈক কূলদা রায়। এর যে-জবাব দিয়েছেন ফয়েজ আলম আমরা এখানে সেটি হুবুহু তুলে দিলাম। নিচে কূলদা রায়ের পোস্টটাও দেয়া হলো আগ্রহী পাঠকের জন্য।
বাঙালির জাতিত্ববোধ, বাংলা ভাষা, তার ভাব ও সংস্কৃতি চর্চারে ভিনদেশি প্রভাব মুক্ত রাইখা নিজ জমিনে দাঁড় করানোর স্বপ্ন নিয়া আমি প্রায় দুই যুগ আগে লেখতে শুরু করছিলাম, এখনো লেখতেছি। এই কারণে বাঙালির জাতিত্ববোধ, ভাষা, সংস্কৃতির স্বাধীন বিকাশের বিরোধী শক্তি মাঝেমধ্যেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারণা চালায়। আমেরিক প্রবাসী এক সাম্প্রদায়িক কয়দিন আগে অনেক মিথ্যা কথা আমার নামে চালায়া দিয়া ফেস বুকে পোস্ট দিছে আর সেইখানে তার প্রতিক্রিয়াশীল সঙ্গীরা কোনো কারণ উল্লেখ না কইরাই আমার উদ্দেশ্যে ঢালাওভাবে অকথ্য গালাগালও করতেছে। আমি এই সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল আচরণের প্রতিবাদ ও নিন্দা করি। এইখানে তাদের প্রতিহিংসার কারণটা ছোটো কইরা বলি।
গত বছর আমার প্রকাশিত “ভাষার উপনিবেশ: বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস” বইয়ে আমি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়া উনিশ শতকের ঘৃণ্য রাজনীতির বিষয়টা সামনে নিয়া আসি। উনিশ শতকের শুরুতে ইংরেজদের উস্কানিতে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকারসহ কয়েকজন সংস্কৃতজানা পণ্ডিত প্রচলিত বাংলা ভাষারে বদলায়া সংস্কৃত ভাষার আদলে একটা উদ্ভট গদ্যরীতির উদ্ভব ঘটান। তার সাথে সাথে ইংরেজদের ভুল আন্দাজের বরাতে প্রচার চলতে থাকে যে বাংলা ভাষা সংস্কৃতের কন্যা। কিন্তু আমি আমার বইয়ে তথ্যপ্রমাণসহ দেখাইছি এই ধারণাটা খুঁতযুক্ত। আসলে সংস্কৃত এবং বাংলা দুইটাই ভিন্ন ভিন্ন দুই অঞ্চলের স্থানীয় প্রাকৃত ভাষা থাইকা আসছে, সংস্কৃত আসছে পাকিস্তনের গান্ধারা অঞ্চলের প্রাকৃত থাইকা আর বাংলা আসছে বাংলা অঞ্চলের প্রাকৃত থাইকা। প্রাকৃতের দুই আঞ্চলিক রূপভেদ থাইকা এই দু্ই ভাষা বিকশিত হওয়া কারণে তাদের মিল । একই কারণে ভারতের অন্যান্য জীবিত ভাষার সাথেও সংস্কৃতের মিল আছে। সংস্কৃতের সাথে বাংলার বাকী মিলমাল বানোয়াটভাবে তৈয়ার করা হইছে উনিশ শতকে বাংলা ভাষার সংস্কৃতায়নের মাধ্যমে। বাংলা ভাষার সাথে অসমিয়া বা উড়িয়া ভাষারও মিল আছে। কারণ এইগুলা একই প্রাকৃত ভাষার আঞ্চলিক রূপ থাইকা আসছে। সেই জন্য কি দাবী করা যাবে যে অসমিয়া ভাষার বাপ হইল বাংলা ভাষা?
মৃত্যুঞ্জয় নিজে বাঙালি না, বাংলা ভাষা তেমন জানতেনও না। তিনি লেখলেন নতুন সংস্কৃতায়িত বাংলা। সেইখানে প্রচলিত বাংলা ভাষার প্রচুর শব্দ বাদ দিয়া তার বদলে সংস্কৃত শব্দ বসায়া দেয়া হয়। পরে স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে সেই ভাষা পড়তে ও লেখতে বাধ্য করা হয় সাধারণ বাঙালিদেরকে। এইটা ছিলো গুটিকয় ব্রাহ্মন্যবাদীর কাজ। এর ফলে জনগণের ৯০%-এরও বেশি সাধারণ বাঙালি হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান তাদের বাংলা ভাষার বদলে সংস্কৃতায়িত বাংলা পড়তে ও লেখতে বাধ্য হয়। আমি আমার বইয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, দীনেশচন্দ্র সেন, সুনীতি কুমার, সুকুমার সেন ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখের মতামত আলোচনা কইরা এবং এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ভাষার ঐতিহাসিক বিকাশের ধারা বিশ্লেষণ কইরা দেখাইছি যে, আমাদের প্রমিত বাংলা হ্ইল ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের চালু করা সংস্কৃতায়িত বাংলার আধুনিক রূপ। আর দেড় হাজার বছর ধইরা বিকশিত বাংলা ভাষা এখন টিইকা আছে বাংলাদেশের সাধারণ (হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খিস্টান) মানুষের মুখের ভাষা হিসাবে। কাজেই আমাদের উচিত আমার মায়ের ভাষা আমার ভায়ের ভাষায় কথা বলা, লেখালেখি করা। সেইটাই ছিলো ভাষা আন্দোলনের মূল মানসিক জোর। আমার এই বক্তব্যরে ওরা বিকৃত কইরা প্রচার করতেছে। তা ছাড়া গত বছর ১৭ এপ্রিল আমি একটা পোস্টে পহেলা বৈশাখের আনন্দে সাম্প্রদায়িক রঙ না লাগানো এবং বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য অনুসরণ কইরা পহেলা বৈশাখের মিছিল করার পক্ষে কিছু কথা বলছিলাম। এরা আমার সেই কথাগুলারেও বিকৃত কইরা হাজির করেতেছে। এই সাম্প্রদায়িক প্রত্রিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এতটাই ধর্মান্ধ যে তারা কোনো পড়াশোনা না কইরাই বাংলা ভাষারে সংস্কৃত ভাষার কন্যা কথাটা চালু রাখতে চায়। এরা বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ভাবজগতের স্বাধীন বিকাশের কথাটা মানতে চায় না। এই অবস্থা শুধু যে বাংলাদেশেই চলতেছে তা না, ভারতের মৌলবাদীরাও ওখানকার বিভিন্ন স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির উপর জোর কইরা সংস্কৃত ভাষা ও আর্য সংস্কৃতির কর্তৃত্ব ফলাইতে চাইতেছে। সেইখানকার সাধারণ জনগণও তাদের নিজ নিজ ভাষা-সংস্কৃতি নিয়া সংস্কৃতপন্থী আর্যপন্থী মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেছে। তবে ভারতে বামপন্থী এবং অসাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলো সোচ্চার থাকায় ঐখানে তারা বেশি সুবিধা করতে পারতেছে না। ইন্টারনেটের যুগে কেউ চাইলে আমার কথার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। আমাদের লড়াই একই জাতের এবং একই উদ্দেশ্যের। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা প্রচারণা চালাইতেছে তারা যে আর্য-সংস্কৃতপন্থী মৌলবাদীদেরই একটা স্থানিক রূপ সেইটা আন্দাজ করা যায়।
শেষে আমি সবাইরে অনুরোধ করি যেন আমার কোনো লেখা নিজে না পইড়া বা ভালোমত না জাইনা কোনো মন্তব্য না করেন। আমি স্বাধীন চিন্তা করতে শিখছি, আমারে অপপ্রচারণার ভয় দেখায়া দাস বানানো যাবে না, আমার মুখ বন্ধ রাখা যাবে না। আমি একলা একজন লেখক, আমার কোনো দল নাই। বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, বাংলাদেশ আমার প্রেম আমার ভালোবাসা। আমি বাংলাদেশে বাস করি, বাংলা ভাষায় বাস করি। বাঙালির সংস্কৃতি ভাষা আর অসংখ্য বাংলাভাষীই আমার দল। আমার লেখার পড়ুয়ারা আমার দল, আমার সংগঠন। আমি তাদের জন্যই লেখি, তাদের আগ্রহ আর জানবুঝের উপর আমার বিশ্বাস মজবুত।
——————————-
কূলদা রায়ের ০৯/০৪/২০২৩ ফেসবুক পোস্ট
মঙ্গল শব্দটি একটি ধর্মীয় শব্দ।
এটা যে ধর্মীয় শব্দ সেটা আবিষ্কার করেছিলেন জনাব ফয়েজআলম।
তিনি কে? তিনি হলেন উত্তর উপনিবেশিকতাত্ত্বিক। এডওয়ার্ড সাইদ, মিশেল ফুকো, জ্যাক দেরিদা, গ্রামসিকে নিয়ে তার বুদ্ধিবৃত্তিক কারবার।
তিনি মনে করেন,বাংলা ভাষা হলো সংস্কৃতভাষার উপনিবেশ। যারা এই ভাষাটি তৈরি করেছিলেন তারা ছিলেন হিন্দু। এই হিন্দুরা হিন্দু ধর্মীয় ভাষা সংস্কৃত থেকে শব্দ নিয়ে সুকৌশলে বাংলার উপরে চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা হিন্দুয়ানি মান ভাষা চালু করেছিল।
এই সংস্কৃত অনুসারী মান বাংলাভাষা বাংলাদেশে চলতে পারে না। কারণ এই বাংলাদেশ এখন মুসলমানের দেশ। তারা কেনো হিন্দুদের ভাষা ব্যবহার করবে!
খুব পাওয়ারফুল যুক্তি।
এই যুক্তি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি ফয়েজ আলম। লিখতে শুরু করেছেন মান আঞ্চলিক ভাষা নামে একটি খিচুড়ি বাংলায়। কয়েকজন অনুসারী অনুসারীনিকেও ফেসবুকে লেলিয়ে দিয়েছেন।
ফয়েজ আলম গেল বছর ঘোষণা দিয়েছিলেন, আদিতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হতো। তিনিও এ আনন্দশোভাযাত্রায় যোগ দিতেন। কিন্তু হুট করে কে বা কারা আনন্দশোভাযাত্রার নাম পালটে মঙ্গলশোভাযাত্রা শব্দ চাপিয়ে দেয়।
ফয়েজ আলম বলেন মঙ্গলশব্দটি একটি ধর্মীয় শব্দ। মঙ্গল শব্দটি প্রয়োগের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের আনন্দশোভাযাত্রাকে হিন্দুধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। তাই তিনি মঙ্গলশোভাযাত্রাটিতে আর যান না।
মনে পড়ে এরশাদের আমলের শুরুতে আতাউর রহমান খান প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি মাংস খেতে পারেন না। তার বমি আসে। কারণ মাংস শব্দটি হিন্দুয়ানী। মাংস শব্দের বদলে গোশত বললে এই বুড়োবয়সেও দুতিন কেজি খেয়ে ফেলতে পারেন তিনি। খুঁজে দেখেছি, স্বাধীনতার পরে যুদ্ধাপরাধীদের মামলার উকিল হিসেবে কাজ করেছেন এই আতাউর রহমান খান।
অর্থাৎদেশ থেকে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের নিপীড়ন নির্যাতন বিতাড়ণ চলছে, ঠিক একই ভাবে ভাষা থেকেও হিন্দুয়ানী শব্দগুলোকে নিপীড়ন নির্যাতনও বিতাড়ন করার প্রকল্পও চলছে।
এখন হিন্দুয়ানী শব্দ নিয়ে আপত্তি তুলছে, কিছুদিন পরে বাংলা অক্ষরকেও বাতিল করার ফতোয়া দেওয়া হবে। বলা হবে, বাংলা অক্ষর সংস্কৃত অক্ষর থেকে এসেছে।
ফয়েজ আলমরা বাংলাভাষা শব্দ নিয়ে যা বলছেন, তা পাকিস্তানী আমলে পাকিস্তানপন্থীরা বলতেন। তারা কৃষ্ণচূড়া ফুলের নাম বদলে চালু করেছিলেন গুলমোহর। নারায়ণগঞ্জকে করেছিল না’গঞ্জ। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বি’বাড়িয়া।
ফয়েজ আলম ফরহাদ মজহারেরই তরিকার লোক। তারা বলেই ক্ষান্ত হন না। বাস্তবায়নে লেগে যান।
ফলে এ বছর পহেলা বৈশাখের মঙ্গলশোভাযাত্রা বন্ধে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আশঙ্কা করছি, অচিরেই আইনী নোটিশ দেওয়া হবে মঙ্গল বার শব্দটি বাতিল করতে। আনন্দশব্দটিও তাহলে হিন্দুয়ানী। আনন্দম থেকে আনন্দ। এটাও বাদ যাবে বৈকি।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের প্রধান অংশই একদিন হিন্দুধর্ম থেকে এসেছিল যেমন করে মঙ্গলশব্দটি এসেছিল হিন্দুধর্মীয় শব্দ থেকে। তাহলে কি যেসব মুসলমান হিন্দুধর্ম থেকে এসেছিল তাদেরকেও বিতাড়ন করার দাবী তুলবেন এরা!!
………………….
আমাদের কথা
সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত যেকোন কর্মকান্ডের আমরা তীব্র বিরোধী। মানুষের ভাবাবেগকে পুঁজি করে সাময়িক অরাজকতা সৃষ্টির প্রয়াস কোনভাবেই সুস্থ মস্তিষ্কপ্রসূত কাজ হতে পারে না। তথ্যবিকৃতি কল্পনাপ্রসূত উক্তি সংযোজন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ অপরাধেরই নামান্তর। ফয়েজ আলম একজন কবি। তিনি তার সময়কে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যার প্রচেষ্টা চালান। ইতিহাসের নির্মম সত্য অনালোকিত অ-উন্মোচিত বেদনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসার দুঃসাহস দেখান। স্বাজাত্যবোধ, দীর্ঘ উপনিবেশিক রুচির জঞ্জাল থেকে স্বাদেশিকতাকে আপন আয়নায় দেখবার একটি নিজস্ব চোখ রয়েছে তার। সেটা কারো পছন্দ নাও হতে পারে; কিন্তু ইতিহাস নির্মম তাকে স্বীকার করতে কুষ্ঠিত হবার কোন যুক্তি নেই। তার বলার ভঙ্গি নিজস্ব, বয়ানে যুক্তির উপস্থিতি দৃশ্যমান। নিছক কোন সাম্প্রদায়িক তকমা লাগিয়ে তার প্রয়াসকে খাটো করবার প্রচেষ্টা অপরাধ। ব্যক্তির মূল্যায়ন তার প্রকাশিত রচনা দ্বারাই হওয়া উচিত। তার উল্লেখযোগ্য কাজ- ব্যক্তির মৃত্যু ও খাপ-খাওয়া মানুষ (কবিতা, ১৯৯৯); প্রাচীন বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি (গবেষণা, ২০০৪); এডওয়ার্ড সাইদের অরিয়েন্টালিজম (অনুবাদ, ২০০৫); উত্তর-উপনিবেশি মন (প্রবন্ধ, ২০০৬); কাভারিং ইসলাম (অনুবাদ, ২০০৬), ভাষা, ক্ষমতা ও আমাদের লড়াই প্রসঙ্গে (প্রবন্ধ, ২০০৮); বুদ্ধিজীবী, তার দায় ও বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব (প্রবন্ধ, ২০১২), জলছাপে লেখা (কবিতা, ২০২১), রাইতের আগে একটা গান (কবিতা, ২০২২); ভাষার উপনিবেশ: বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস (প্রবন্ধ, ২০২২)। আলোচনা হতে পারে সেগুলো নিয়েও। তাকে বাতিল করা যেতে পারে তার কর্মগুলো বিবেচনায় এনে। তার একটি কবিতা দিয়ে শেষ করছি-
একখান ছোটো পদ
তুমি দিলা লাল গনগনা আঙরা।
আমি ভাবি… বনেলা ফুল…
মধুতে মিশাল তোমার স্তনের রঙ।
এগানা আঙ্গুলে রক্ত জাগলো
রক্তপুণ্যির চান।
ঠোঁটে তুলে দেখি চৈতের চেয়েও খরা।
এখনো তিরাস!
ঘোর নিরালা হু হু হাওয়ার বান!
কবিতাটি কী সাম্প্রদায়িক মনে হয়? যেকোন যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনা প্রকাশ করবো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে, লিখতে পারেন আপনিও।
রিসি দলাই
সম্পাদক
চারবাক/ সরলরেখা
12-04-2023