অভিনন্দন বাংলাদেশ। অভিনন্দন বাংলাদেশের তারুণ্য। যে তরুণদের নিয়ে আমরা অনেক সময় উদ্বিগ্ধ, হতাশ, সন্দেহপ্রবণ ছিলাম। উষ্মা প্রকাশ করতাম নানা সময়ে। সঠিক সময়ে তারা জেগেছে। আসলেই আমরা তাদের স্পর্ধা সাহস মনোবল ধরতে পারিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস-কে স্বাগত। ছাত্র-জনতার এই মহামিলনের সময় তার এবং তার বাহিনীর উপর মহা দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। তিনি হাসিমুখে এই মহাদায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। তার সফলতা কামনা করি।
দুর্বৃত্তরা এরই মধ্যে নানা অপকর্ম করেছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে আগুন দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। শশীলজসহ অনেক প্রাচীন গ্রন্থাগারে আগুন দেয়া হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে। পুড়িয়ে দেয়া হয় রাহুল আনন্দের বাড়ি। অনেকের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থানা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এগুলোর নিন্দা জানাই। জীবন্ত মানুষকে মারা হয়েছে নৃশংস কায়দায়, মহাউল্লাসে। এগুলো কাম্য হতে পারে না। কারো অপরাধ থাকলে আইনের আশ্রয় নেয়া যেতে পারে।
স্বস্তির আশার বিষয় আবার তরুণ আমাদের সন্তানরা মাঠে নেমেছে। পাহারা দিচ্ছে। রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে। পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা আশাবাদী। জয় আমাদের হবেই।