004744
Total Users : 4744
Charbak magazine logo
sorolrekha logo

লেখক তালিকা

জন্ম. ২৩ নভেম্বর ১৯৭৫, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানে। সম্পাদনা করছেন ‘চারবাক’ ও ‘সরলরেখা’। যুক্ত আছেন সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা ‘শুক্কুরবারের আড্ডা’র সাথে। লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রহ ও প্রদর্শন কেন্দ্রের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: মায়াহরিণ, কাব্যগ্রন্থ ২০০৮, চারবাক, বুদ্ধিজীবীর দায়ভার, সম্পাদনা ২০০৯, সংবেদ, পক্ষ—প্রতিপক্ষ অথবা শত্রু—মিত্র, প্রবন্ধ ২০১০, চারবাক, নির্বাচিত চারবাক, সম্পাদনা ২০১১, চারবাক, নাচঘর, কবিতা, ২০১২, চারবাক, ভাষা সাম্প্রদায়িকতা অথবা সাম্রাজ্যবাদি খপ্পর, প্রবন্ধ, ২০১৩, চারবাক এবং মুখোশ, কবিতা, ২০১৬, চারবাক, করোনাকালে, কবিতা, ২০২২, চারবাক।
View Posts →
কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক
View Posts →
প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ
View Posts →
বাংলাদেশের উত্তরউপনিবেশি ভাবচর্চার পথিকৃৎ ফয়েজ আলম একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, অনুবাদক। উপনিবেশি শাসন-শোষণ আর তার পরিণাম, রাষ্ট্র ও সমধর্মী মেল কর্তৃক ব্যক্তির উপর শোষণ-নিপীড়ন ও ক্ষমতার নানামুখি প্রকাশ আর এসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকার কৌশল নিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে লিখছেন তিনি। বিশ্বায়নের নামে পশ্চিমের নয়াউপনিবেশি আর্থ-সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আর রাষ্ট্র ও স্বার্থকেন্দ্রিক গোষ্ঠীর শোষণচক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার লেখা আমাদের উদ্দীপ্ত আর সাহসী করে তোলে। রুহানিয়াত সমৃদ্ধ দার্শনিক ভাবচর্চা আর সাহিত্যিক-রাজনৈতিক তত্ত্বচর্চাকে একসাথে কবিতার দেহে ধারণ করতে সক্ষম ফয়েজ আলমের সহজিয়া কবিতা। তার কবিতায় তিনি মানুষের প্রাত্যহিক মুখের ভাষার প্রতি উন্মুক্ত। যে ভাষাকে আমরা ব্রাত্য বানিয়ে রেখেছি একেই তিনি জায়গা করে দিয়েছেন কবিতায়। তাই প্রচলিত কাব্যভাষা থেকে তার কবিতার ভাষা ভিন্ন। বিভিন্ন প্রবন্ধে তিনি এ ভাষাকেই বলেছেন মান কথ্যবাংলা, আঞ্চলিকতার বাইরে সর্বাঞ্চলীয় বাঙালির প্রতিদিনের মুখের ভাষা। কবিতাগুলো কখনো কখনো বিভিন্ন ধ্বনি ও শব্দে বেশি বা কম জোর দিয়ে কথা বলার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে পারে, যেভাবে আমরা হয়তো আড্ডার সময় কথা বলি। এবং তা একই সাথে বক্তব্যের অতিরিক্ত ভাষারও অভিজ্ঞতা। খোদ ‘আওয়াজের সাথে ইশক’ যেন। প্রাণের আকুতি ও চঞ্চলতার সাথে তাই শূন্যতাও হাজির আছে। সেই সাথে জারি আছে ‘শব্দের দিলের ভিতরে আরো শব্দের আশা’। ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়ার যোগীরনগুয়া গ্রামে। বাবা মরহুম শেখ আবদুস সামাদ, মা সামসুন্নাহার খানম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ (সম্মান) ও এমএ পাশ করার পর প্রাচীন বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণার জন্য এমফিল. ডিগ্রী লাভ করেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ: ব্যক্তির মৃত্যু ও খাপ-খাওয়া মানুষ (কবিতা, ১৯৯৯); প্রাচীন বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি ( গবেষণা, ২০০৪); এডওয়ার্ড সাইদের অরিয়েন্টালিজম (অনুবাদ, ২০০৫); উত্তর-উপনিবেশি মন (প্রবন্ধ, ২০০৬); কাভারিং ইসলাম (অনুবাদ, ২০০৬), ভাষা, ক্ষমতা ও আমাদের লড়াই প্রসঙ্গে (প্রবন্ধ, ২০০৮); বুদ্ধিজীবী, তার দায় ও বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব (প্রবন্ধ, ২০১২), জলছাপে লেখা (কবিতা, ২০২১), রাইতের আগে একটা গান (কবিতা, ২০২২); ভাষার উপনিবেশ: বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস (প্রবন্ধ, ২০২২)।
View Posts →
কবি ও গল্পকার। যুক্ত আছেন চারবাক সম্পাদনা পরিবারের সাথে।
View Posts →
কবি। জন্ম মৌলভীবাজার জেলায়।
View Posts →
প্রাবন্ধিক। অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে প্রান্তীয় কৃষক-মধুচাষি, বেতবাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন নিয়ে কাজ করছেন।
View Posts →
জন্ম— জুন, ০৬, ১৯৭৭। জন্মস্থান— উত্তর গোবীন্দর খীল, হাঁদু চৌধুরী বাড়ী, পটিয়া, চট্টগ্রাম। (শৈশব কৈশোর ও তারুণ্যের সময়যাপন) বেড়ে ওঠা (পূর্ব্ব বালিয়াদী, মীরশ্বরাই, চট্টগ্রাম) নানার বাড়ীতে। প্রকাশিত কবিতার বই— ফুলেরা পোষাক পরে না (সাল: ২০১৮, প্রকাশক : মনফকিরা, কলিকেতা)। প্রকাশিতব্য বই— অর্দ্ধনারীশ্বরবাদ : প্রকৃতিপুরুষতত্ত্ব (নন্দনতত্ত্ব), বটতলার বয়ান (ভাষাতাত্ত্বিক গদ্য) ও উদ্ভিদপ্রতিভা (কবিতা)। সম্পাদক— চারবাক।
View Posts →

সম্পূর্ণ লেখক তালিকা

মজিব মহমমদ-এর কবিতা

ক.

গোলের খেলা ফুটবল
ফুটবলও গোল

শুটিংয়ের গয়নাবোঝাই বউয়ের মত সাজানো বাপ-দাদার এ শহরে
কৃষকের ক্ষেতে পঁচতে থাকা সবজির চেয়েও কমদামে
মানুষের কাটা তাজা মাথা পাওয়া যায়
মাথাও গোল।

বারুদে ঠাসা ককটেল
গোল গোল সলটেড বিস্কুটের মত মোড়ানো ও প্যাচানো
সূর্যের বোটা খুলে কে যে কখন রক্তের উৎসব শুরু করে দেয়Ñ ধরাই যায় না

পোড়া মানুষের আর্তনাদ, আতংক আর ধোঁয়ার কুন্ডলীর ভেতর
খানাখন্দময় সড়ক জু্েড়ই
গোল গোল স-ব বল নিয়ে
কাড়াকাড়ি! ছুটির আমেজ!

বাঙালি; হালার পোরা পারেও…

খ.

২০০ টাকা মরিচের কেজি
তবুও ৩/৪ টা দিন কেমন
ফুড়–ৎ করে উড়ে গেল

ফোনে সে জানিয়েছে, শাদা শার্টে
ছেলেদের হাবলু লাগে; ব্যাক ব্রাশ চুল
ঝুটি হলে আরও ভাল। অ্যাশ কালার
জিন্সের সংগে চাই যুতসই জুতো।

আচ্ছা, তুমি কি বড় আপার বান্ধবীর মত
তাতের শাড়িতে ঢেউ তুলে
হাঁটতে জানো?

বিদেশী সেন্টে বগলের দুর্গন্ধ ঢেকে বেরিয়ে পড়ি

পুরোটা রাস্তা
গুয়ে-মূতে সয়লাব
ম্যানহোলের ভেতরে মহিষের মত
ভুসভুস করছে একটা লোক

জুতো জোড়া বাঁচিয়ে হাঁটতে থাকি

যাক, পাঁচটা বাজতে এখনও অনেক বাকি

গ.

বরষা পড়–ক, বর্ষা ফুটুক
ফুলের মত ঝরে পড়–ক মেঘকণা
ধুলোবালির শুকনো পথঘাট
ভিজে হোক আরও প্রাণবান

ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ভিজছে কেউ
একা
একা

আহারে; বেচারীর স্বামী বুঝি দূরদেশে থাকে!

ঘ.

আবার সিগনাল অই ব্যাটা খাড়ানোর জাগা নাই আবার পেসেনজার উঠাস তোর মাতার উপর উডাবি মামা পেছনে চাপেন গুলিস্থান নামমু দেইখ্যা শুইনা পাড়া দ্যান আরে বহেন বহেন যা গরম টেকা যায় না বুঝলেন না গজব মহিলা সিট ছাড়েন আইভি তো ভয় পায় কাউরে পদ্মা ব্রিজটা এইবার আর হবে না বোধ হয় মালয়েশিয়া তো টাকা দিতে চাইল ট্রানজিট লইয়া চাদ্দিকে কি শুনবার লাগছি মেট্রো রেল নাকি বিমান বাহিনী ভেটো দিতাছে যাই বলেন যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার কিন্তু ঢাকার চেহারাটাই পাল্টে দেবে বেচাকেনা নাই শেয়ারে খাইবো এই সরকারকে দেইখেন বোঝেন সাধু হইল গিয়া পরিচালক দ্যাশের তো বারটা বাইজা গেছে ফটট ফটটটফফফফঠফটফটফট পুততত হ্যালো কিচ্ছু শুনবার পাচ্ছি নে কে হ্যালো হ্যালো শালার নেটওয়ার্ক গাদ্দাফি তো শ্যাষ চীনারা বহুত অস্ত্র বেচছে ড্রাইবার না বাল এই মেঞা বামদা যাও না ক্যান ছাতু চালায় পিটটট পিটপিটপিটপটপিটপিটটটট একসিডেন্ট তো এই লাইগ্যাই অয় মালমুহিত এবার এক্কেবারে জেনুইন মাল অয়া গেছে এই বাংলামটর বাংলা মটর ওয়াওওওওয়াওওওওয়াও পটপটপ ফটপটফটপঠ পুতপুতপুততত ক্যাডা যায় পিটট পিটপিট অধিবেশন কবে শুরু হইল বিরোধী দল তো জমাইতে পারছে না বিদাশ বলেন টাকা পয়সা বলেন কোনোটা তো বানচোতরা ছাড়ছে না সব হালায় মাদারচুত কারে ভোট দিবেন পুপুপুপুপু পুতততপুত পটফটফটফট ঠ্যালা মারলি ক্যা চোখ কি আকাশে উডাই রাখেন ভাংতি নাই তিন টাকা না না ভাংতি দ্যান একহাজার টাকার নোট দুই নম্বরি হ্যালো আরে এই তো এই যে বারডেমের গেটে আইসা পড়ছি এক মিনিট সরেন।

 

শেয়ার করুন: