নস্ত্রাদামুস
[পৃথিবীর সব গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে ]
কেন এত হেঁয়ালিতে শ্লোক লিখে রেখে গেছ নস্ত্রাদামুস?
লিখে গেছ এক দেশ চুরমার হবে রাতারাতি,
লক্ষ মানুষ হবে মৃতদেহ এক লহমায়,
বসতি বিরান হবে হাজারযোজন দশদিকে,
দাউ দাউ ছাই হবে আগুনের বর্ষণে ভূমি,
অতল দীঘির জল ধোঁয়া হবে নিষ্মেঘ নভে,
জ্বলবে না একটিও দীপশিখা হাজাররাত্রি তমসায়…
জানালে না কেন, হবে কোন্ দেশে সেই মহালয়?
হেঁয়ালি বেড়ায় ঘুরে তাই দেখি পৃথিবীর এপার–ওপার,
বারবার নেমে আসে আঁধার প্রলয় অবিরাম,
দেশ থেকে দেশে, মহাদেশ পার হয়ে লোকভূমে,
কালো–শাদা–বাদামিরা বাঁচলো না কেউ হেঁয়ালিতে,
নরক বেড়ায় নেচে জ্ঞানযুগে গ্রহখানি জুড়ে।
অতি বড় পিশাচের মন নিয়ে নস্ত্রাদামুস
একবারও বললে না কোন্ সেই দেশে দিলে শাপ।
দাওনি সীমানা টেনে নরকের সেই দাবানলে,
ঘরের পরেতে গ্রাম, গোত্রের পরে কতো জাতি
দিয়ে গেল, দিয়ে যাবে প্রমাণ তোমার অনুকূলে –
কতোটা অমোঘ তুমি সহ¯্র বৎসরে ছিলে আর সামনেও রবে।
একলা মানুষ আমি,
একটি ঘরের মাঝে একটি প্রদীপ জ্বেলে থাকি,
একলার রাঁধা–বাড়া, একলার জীবনযাপন –
নস্ত্রাদামুস, দ্যাখো, পৃথিবীর শেষ গ্রাম এটা,
মানুষজাতির অবশেষ জমায়েত এইখানে।
হেঁয়ালি তোমার নাও ফিরিয়ে, প্রলয় সমাগত…
সংহারী দ্বৈরথে মুখোমুখি হও কাপুরুষ!
১৪ মার্চ ২০১৯