সেই সব যুদ্ধ
সেই সব যুদ্ধই তো ছিল ভালো–
কোনো এক রাজন্যের আহবানে বেরিয়ে পড়তাম রাস্তায়–
বর্মে আচ্ছাদিত হয়ে নাঙা তলোয়ার হাতে
নদী ও পর্বত অতিক্রম করে, ঘুটঘুটে অন্ধকারে
নিজের অবস্থানে থাকতাম অনড়
কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি– সেসব আমাদের ছিল না জানা
কেবল জানতাম– কখন নেমে আসবে সেনাপতির নির্দেশ
অমনি প্রতিপক্ষের মাথা উড়িয়ে দেয়ার কাজ করতে হবে সম্পন্ন
প্রতিটি মাথার মূল্যে নির্ধারিত হবে আমাদের শক্তি
শেষমেষ নিজের মাথা বাঁচাতে পারলেই কেবল জুটবে–
বাহারি খেতাব, সোনা–দানা– লুণ্ঠিত দ্রব্য
যদিও জানতাম না– কেন তারা আমাদের বধ্য
তাদের সঞ্চিত সম্পদ– জায়া ও জননী আমাদের ভোগ্য
তবে জানতাম– অন্যকে মারার মধ্যে রয়েছে বীরত্ব
সম্মান ও মর্যাদা– ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা
চেঙ্গিস–নেপোলিয়ান–আলেকজান্ডার বোনাপাট
এখনো শিশুরা দেখতে চায় তৈমুর আটিলার শকট
প্রাক–ইতিহাসের সকল সুর ও অসুর
নিজ দেশ অতিক্রম করে গিয়েছে অনেক দূর
অন্য জাতির মানুষদের করেছে লুণ্ঠন
কারণ উৎপাদনের চেয়ে পৃথিবীতে যুদ্ধই মহৎ পেশা
যোদ্ধাকে তাই সবাই করে সম্মান
পরজাতিকে পরাস্ত করেছে যারা তারাই বীর
তারাই অন্য জাতির ঘৃণায় অধীর
আজ যদিও সেই সব যুদ্ধের দিন হয়েছে অবসান
তবু যুদ্ধ মানুষের রক্তের টান
তাই জাতিকে বিভাজিত করে আজও মানুষ যুদ্ধ চান
যদিও এই যুদ্ধে আমাদের মাথা থাকে অক্ষত
তবু হৃদপিন্ড থেকে রক্ত ঝরে অবিরত।