অস্তিত্ব
কোন দিকে এগুচ্ছে আমার পদধ্বনি
যেখানে পা ফেলি চোরাবালিতে ডুবে যাই,
দিক্্বিদিক শূন্যতায় নেচে উঠে প্রেমিকার গৃহ।
মাঠে ঘোড়ার পাল দৌড়াদৌড়িতে বাতাসের বেগ
রেসের দর্শকরা চোখ বন্ধ করে উপভোগ করে।
আরেক দলের জায়নামাজ দিবানিশি
মসজিদের মিনার বরাবর চিৎকার করে।
যদি কোনো ঘটনা ঘটে যায়,
ওৎ পেতে থাকে সিঁদকাটা চোরদের মতন ।
সূর্যের নিচে নদী দিক পরিবর্তন করে,
ঐদিকে মেষপালকেরা জুব্বা ছিঁড়ে ফেলতে চায়।
সবকিছু দ্রুত ঘটে যাচ্ছে,
মানুষের রক্তে বারুদের আস্তরণ
ভারী হয়ে মিলিয়ে যায় প্রযুক্তির ব্ল্যাকহোলে।
প্রযুক্তিবিদরা নেশা পান করে
স্বপ্ন চিবিয়ে মেরে ফেলে যার যার অস্তিত্ব।
বিখ্যাতজনেরা যাযাবর অবস্থান
বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে,
আমি কেবল নির্বাক, একচোখে বিশ্ব দেখি।
সূর্যাস্ত সন্ধ্যার বুকে ঘাসফড়িং উড়ে যায়
যেন আমার অস্তিত্বের অস্বীকৃতি উড়ে।
১৩/০১/২০২৩