004743
Total Users : 4743
Charbak magazine logo
sorolrekha logo

লেখক তালিকা

জন্ম. ২৩ নভেম্বর ১৯৭৫, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানে। সম্পাদনা করছেন ‘চারবাক’ ও ‘সরলরেখা’। যুক্ত আছেন সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা ‘শুক্কুরবারের আড্ডা’র সাথে। লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রহ ও প্রদর্শন কেন্দ্রের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: মায়াহরিণ, কাব্যগ্রন্থ ২০০৮, চারবাক, বুদ্ধিজীবীর দায়ভার, সম্পাদনা ২০০৯, সংবেদ, পক্ষ—প্রতিপক্ষ অথবা শত্রু—মিত্র, প্রবন্ধ ২০১০, চারবাক, নির্বাচিত চারবাক, সম্পাদনা ২০১১, চারবাক, নাচঘর, কবিতা, ২০১২, চারবাক, ভাষা সাম্প্রদায়িকতা অথবা সাম্রাজ্যবাদি খপ্পর, প্রবন্ধ, ২০১৩, চারবাক এবং মুখোশ, কবিতা, ২০১৬, চারবাক, করোনাকালে, কবিতা, ২০২২, চারবাক।
View Posts →
কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক
View Posts →
প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ
View Posts →
বাংলাদেশের উত্তরউপনিবেশি ভাবচর্চার পথিকৃৎ ফয়েজ আলম একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, অনুবাদক। উপনিবেশি শাসন-শোষণ আর তার পরিণাম, রাষ্ট্র ও সমধর্মী মেল কর্তৃক ব্যক্তির উপর শোষণ-নিপীড়ন ও ক্ষমতার নানামুখি প্রকাশ আর এসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকার কৌশল নিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে লিখছেন তিনি। বিশ্বায়নের নামে পশ্চিমের নয়াউপনিবেশি আর্থ-সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আর রাষ্ট্র ও স্বার্থকেন্দ্রিক গোষ্ঠীর শোষণচক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার লেখা আমাদের উদ্দীপ্ত আর সাহসী করে তোলে। রুহানিয়াত সমৃদ্ধ দার্শনিক ভাবচর্চা আর সাহিত্যিক-রাজনৈতিক তত্ত্বচর্চাকে একসাথে কবিতার দেহে ধারণ করতে সক্ষম ফয়েজ আলমের সহজিয়া কবিতা। তার কবিতায় তিনি মানুষের প্রাত্যহিক মুখের ভাষার প্রতি উন্মুক্ত। যে ভাষাকে আমরা ব্রাত্য বানিয়ে রেখেছি একেই তিনি জায়গা করে দিয়েছেন কবিতায়। তাই প্রচলিত কাব্যভাষা থেকে তার কবিতার ভাষা ভিন্ন। বিভিন্ন প্রবন্ধে তিনি এ ভাষাকেই বলেছেন মান কথ্যবাংলা, আঞ্চলিকতার বাইরে সর্বাঞ্চলীয় বাঙালির প্রতিদিনের মুখের ভাষা। কবিতাগুলো কখনো কখনো বিভিন্ন ধ্বনি ও শব্দে বেশি বা কম জোর দিয়ে কথা বলার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে পারে, যেভাবে আমরা হয়তো আড্ডার সময় কথা বলি। এবং তা একই সাথে বক্তব্যের অতিরিক্ত ভাষারও অভিজ্ঞতা। খোদ ‘আওয়াজের সাথে ইশক’ যেন। প্রাণের আকুতি ও চঞ্চলতার সাথে তাই শূন্যতাও হাজির আছে। সেই সাথে জারি আছে ‘শব্দের দিলের ভিতরে আরো শব্দের আশা’। ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়ার যোগীরনগুয়া গ্রামে। বাবা মরহুম শেখ আবদুস সামাদ, মা সামসুন্নাহার খানম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ (সম্মান) ও এমএ পাশ করার পর প্রাচীন বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণার জন্য এমফিল. ডিগ্রী লাভ করেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ: ব্যক্তির মৃত্যু ও খাপ-খাওয়া মানুষ (কবিতা, ১৯৯৯); প্রাচীন বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি ( গবেষণা, ২০০৪); এডওয়ার্ড সাইদের অরিয়েন্টালিজম (অনুবাদ, ২০০৫); উত্তর-উপনিবেশি মন (প্রবন্ধ, ২০০৬); কাভারিং ইসলাম (অনুবাদ, ২০০৬), ভাষা, ক্ষমতা ও আমাদের লড়াই প্রসঙ্গে (প্রবন্ধ, ২০০৮); বুদ্ধিজীবী, তার দায় ও বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব (প্রবন্ধ, ২০১২), জলছাপে লেখা (কবিতা, ২০২১), রাইতের আগে একটা গান (কবিতা, ২০২২); ভাষার উপনিবেশ: বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস (প্রবন্ধ, ২০২২)।
View Posts →
কবি ও গল্পকার। যুক্ত আছেন চারবাক সম্পাদনা পরিবারের সাথে।
View Posts →
কবি। জন্ম মৌলভীবাজার জেলায়।
View Posts →
প্রাবন্ধিক। অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে প্রান্তীয় কৃষক-মধুচাষি, বেতবাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন নিয়ে কাজ করছেন।
View Posts →

সম্পূর্ণ লেখক তালিকা

শামীম মেহেদী’র কবিতা

আকাশে উড়ে সাইকেলের ডানা

আগন্তুক সময়ের প্রতিবিম্ব সামনে দাঁড়ালেই অচেনা ঠেকে,
সাইকেলের ডানায় ভেসে যায় আগামি-স্তব্ধতা,
আকাশ পাড়ি দেয় মেঘ!
একপশলা বৃষ্টি এইসব দিন শেষে বাড়ি ফেরাদের দলে।

অনিকেত সময় বিমূর্ত পরে থাকি মেঘদলে,
উড়াউড়ি বেলায় অথবা জোনাক জ্বলা সন্ধ্যায়
নোনা রক্ত পলি জমায় কাঁটাতারে,

সবুজের রাণি লাল ঠোঁটে বয়ে বেরায় বৃত্তের রক্তাক্ত শরীর।
ফেলানি ঝুলে থাকে সিমান্তের কাঁটাতারে।
প্রাচিরে চিরচেনা ব্যাধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
খুন হই প্রতিক্ষণ বর্বরতায়।

দেহে আমার টুকরো টুকরো
জমাট বাঁধা রক্ত পুঁজ হয়ে বিমূর্ততা প্রসব করে।
ক্রসফায়ার কেড়ে নেয় নববধূর সখের পুতুল!
উঠানে দাঁড়ায় একচিলতে আকাশ

রোদ ও অসভ্যতা

দুনিয়া বিদির্ণ বৃষ্টিপ্রপাত-জল উপাখ্যানে, তরুণি মেলায়িত দৃষ্টি
চেয়ে দেখে ষোড়শি চোখ-মাদকতায় গ্রাস করে কিংকর্তব্যবিমূরতা।
নিশ্চুপে জমায়িত কষ্ট, শঙ্খচিল উড়ে বসে পাহাড়ে-সবুজের চাষ হয় আফিম বনে
বয়ে বেরায় বেদনার্ত বাংলার আনাচে কানাচে-সিমান্তে লাল সূর্য।
রোদ এসে বসে থাকে চুপটি করে সারস সংহারে, সংবেদনচিত্তে
প্রকাশিত হয় উর্বাসা শষ্যে, অসভ্য আলোকিত সত্য।
এখনো গ্রহণ কাটেনি-চায়ের কাপে জমে থাকা সুখ, আন্দোলিত হয়।
বারবার সময়ের উল্টো স্রোতে বহমান নটিদের নটকির্তন গায়ে সারি সারি পিঁপড়াদের মিছিল।

 

রবীন্দ্রনাথ

সরল স্বীকারোক্তি-তোমায় নিয়ে হিংসুটে আছে,
নিন্দা করারও শিল্পগুণ লাগে-
জানিয়ে দিয়ে জনৈক বৎস বাহবা কুড়াতে ব্যস্ত
তোমায় নিয়ে চুটল কেউ কেউ দুর্লভ দুর্বলতা খুঁজে
আমিও যখন রিভিউ ডেস্কে বসি মুর্খতা গ্রাস করে!
তাঁত যেমন বুনে চলে শিল্পি সুতার ফাঁকে ফাঁকে
দুঃখ-সুখ, লুকিয়ে থাকে।
তারপর সমস্ত আয়োজন শেষ হলে প্রতিবিম্বের সামনে দাঁড়ায়
ফটোসেশন চলে-একটা কুমারি নদি-স্রোত টানা মন্থনে
আইমজেনা আইবুড়োদের খপ্পরেÑনষ্টালজিয়ায় ভুগে
শিল্পের জন্য শিল্পগুণ লাগে।
শিল্পি ও শিল্প দু’য়ের সঙ্গমে ফুটে ওঠে সফেদ শিশির-দূরে কোথাও
দাঁড়িয়ে থাকে কেউ প্লাটফর্মে কাঁটাছেড়ায় ব্যস্ত,
রেলমাস্টার জানান দিয়ে যায়
শেষ ট্রেনটা পৌঁছবে ঘণ্টা দেড়েক পরে
অতএব, রবি তুমি বসে থাকো নিশ্চুপ

 

জন্মআকাশ

সামনে এসে দাঁড়ায়-
তার চোখে বিজয়ের ঝিলিক
মনে করিয়ে দেয় তার যুদ্ধজয়ের গল্প কথা
জন্মমাটিগৃহ তার চিরচেনা রূপ নেই-
অট্টালিকা-পিঁপড়া-সমেত-সাম্রাজ্য নীল চোখ-অট্টহাসিতে বিমূঢ়
চোখ ফোঁটা আতুর ঘরে তার পাশঘেষা ঝিল-ডোবা

আমাদের মধ্যবিত্তের সিমানা-
নিতান্তই অবহেলায় নষ্টালজিক
নতুন ব্লেড, সূচ, স্যাভলনের ছিপি…

আলোফোঁটা প্রথম চিৎকার-
আমায় দেখে বিদ্রুপ হাসি হাসে
যার অর্থ আমি বুঝি অথবা বুঝি না!

আমাদের ফটিক ঘরের দেয়ালে ঝুলানো হয় নগ্ন শিশুর ফুটফুটে ছবি
যে দাঁড়িয়ে থাকে স্পর্ধায়,
ধাইমা-
দূরে কোথাও অথবা এইখানে
আলো ফোটা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

 

মৃত্যু ভাবনা-১

জীবনবাবু, ডেকেছিলো মৃত্যু
নূরহোসেন সেও মিশেছিলো জনতার ডাকে
এই যে দু’পক্ষ দু’ধারার

এমন কিছু সমাধি আছে যা দ্যাখে না কেউ
যে নাই, আমিও-দহন মৃত্যু,
সত্যকে উপলব্দি করার, ঝরে পরার পঞ্চমৃত্যুর মিথ
এবং মিথস্ক্রিয়া জাগায়-ভাবায়,
খোরাক হয়
হতে থাকে…

 

মৃত্যু ভাবনা-২

সেলোয়ার ওড়নায় লুকানো বৃত্তের ঢং
রূপলাবণ্যে কদমার্ত
তোমাতেই ঈশ্বর-

তুমি সবুজ স্নিগ্ধ-অপরূপ
ধানশালিকের হট্টগোল,
চুপি চুপি-
আমি তাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়!

 

মৃত্যু ভাবনা-৩

চলেন হারাই-
হারিয়ে যাই দূর নিলিমায়
যেখানে বসন্ত ছুঁয়ে যায় প্রতিদিন

যেখানে অমাবশ্যার আাঁধার গ্রাস করে আপন আঁধার
প্রতিদিন রোদে পোড়া শহরে কিছু সুহৃদ
আহামরি আয়েশে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে
কিছু আবার অন্য রকম
স্বপ্ন ফেরি করে

 

চলেন হারাই দৈত সত্ত্বায়

আসলে আমরা সবাই ভাসমান
হ্যাংগারে ঝুলানো মানুষ।

জেগে থাকে জোনাক রাত
তোমরা আমায় চেনো ভীষণ, সত্যিকার চোখ মেলে দেখা আকাশ-
পাখিদের চিরচেনা সবুজের শহর-
আর তোমাদের পাড়ার বখে যাওয়া কৈশোরের দুরন্তপনায়।

স্তনের বৃত্তে আকাশ স্বপ্নে
জানিয়ে দেই তোমার আমার খুব কাছের কেউ।
আমার লতাপাতায় বিচরণ করে জোঁক-কেউটে-গোঁখরো
আমার শিকরমূলে সঞ্চালিত রক্ত নিলচে শরীর

ঘুম ঘরে ডোমরের কুপেতে দগ্ধ।
তোমারা আমায় চেনো খুব কাছ থেকে
বিশুদ্ধ শালদুধে
তোমাদের চিরচেনা জেগে থাকা জোনাক রাতে।

হিজড়ে শহরে

মুখ ও মুখোশে বৈরিতা-বিপরিত মুখগুলোর সাথে, ক্লেদ জীর্নতা-অহম ভারি ঠেকে, এ পাপ নয়; চেয়ে থাকি সুঠালো স্তনের হা করা কুমারি নিলাকাশে। হাটি চুপি চুপি, মিথ্যে’র মিছিলে। দল পাকায় গুঁটি কয়েক প্রজাপতি অথবা শকুন, যে উড়ে উড়ে কেড়ে নেয় রঙ মাধুর্য্যে কুটিরে লুকানো যত আলো। হাত রাখি কোন এক নারি দেহে, চমকিয়ে বিস্ময়ে উঠি এ দেহ নারি নয়, পুতুলে শরীর কখনো দ্যাখিনি হিজড়েরা দ্যাখতে ক্যামন হয়। তবুও আমার বয়ে চলা সময় স্রোতে গন্ধ খুুঁজি কুমারি নদের শ্যাওলা ঝরানো নুনতা পলিহ্রদে। ডুবে ডুবে ভাসি ভিষণ তৃপÍতায় উদরপূর্তি ঢেকুর তুলি; স্বাদ যেন শিতের সকালে মায়ের হাড় কাপানো রিনিঝিনি চুরির শব্দ। কল্পনায় আঁকে শরীর, উত্তপ্ত শহরে, অলিগলি দাঁড়িয়ে থাকা বহুতল ভবনের ফাঁক গলিয়ে যে আলো আসে সেখানে সুখ খুঁজে ফিরি, আঁকাবাঁকা উচুনিচু কত সাপ্নিক স্রোত পাকায় চেনাজানা এই… শহরে।

জলে পোড়া সময়

জ্যোৎস্না জলে তার ছায়া নামে, পরবাসি আত্মায় বসত করে নীললোহিত, আমাকে হত্যা করে আমাতেই প্রতিবিম্ব। সামনে যখন দাঁড়াই হেসে হেসে খুন হই। লতাপাতার বুকে খেলা করে লকলকে তুলির স্কেচ; ছবি হই-বিমূর্ত হই-ভাবনা ঘোরপাক খায়, সামনে বিশাল নদি। সে দিন ঘোর সন্ধ্যা ছিলো, মেঘ মেঘ আকাশ-নিষিদ্ধ জ্যোৎস্না টিপটিপ টপটপ জ্বলে আর নেভে যেনো বৃষ্টির ফোটা। সিথানে পাতা মাথা ঝিমঝিম খেলা করে। সৌন্দর্য্য তখন অহমিক পাশবিকতা, বিষাদ কাব্যিকতায় মনে হয় শাপলা কুড়ানো দিন, ঝিলের পানি টলমল থৈ থৈ জলে নিজের ছবি-মুখচ্ছবি; রঙ ভেসে বেড়ায় জলপরি, জলপরির শাড়ির আঁচল ভিজে শালুকের ছোঁয়ায়। কতো রঙ স্বপ্ন খেলা করে তার দু’চোখে।
অতপর…
স্বপ্ন সিমানায় সিমান্তে কেউ বসত করে

 

 

পোয়াতি

অতপর…
পোয়াতি সন্ধ্যার মতো চুপসে যায় সময়
চুপসে থাকা বেলুন মুখ হুট করেই পটল তোলে; অর্থাৎ ফেঁটে যায়
থমকে থাকা মুহূর্তের মতো মুর্খতা আমাকেই আবিস্কার করে
বারবার আথবা বারংবার সময়গুলো অকস্মাৎ হাই তোলে

উগরে দ্যায় একগাধা কষ্ট সারথি- চেয়ে দ্যাখি খালি চোখে
উড়ে যায় বহুদূরের দ্যাশে অজানা অচেনা বকপঙ্খি
কারা কারা যেন প্রশ্ন তুলে ছিলো-তুমি কি শুধুই যাযাবর?
বলে ছিলাম চুপসে থেকেই আমি অন্যকিছু… অথবা অযাচিত কেউ

ঘুর্ণায়মান বিশালতায় দুলকি চরকিতে উড়ে চলে অথবা যায় বহুকিছুই
বাতাবি নেবুর রস যেমন চেপে দ্যায় মায়ের হাত; তেমনি দুরন্ত রসালো
তোমার দেহের রঙ চেপে যাই নিজেতেই। তুমি কি শুধুই মালিনি,Ñ
যে দুধ বিক্রি করো হেটে হেটে পাথর সময়ে

অমিমাংসিত রহস্যে পাল তোলে নায়ের মাঝি
এবার ক্ষ্যান্ত যাও… হাই হ্যালোতেই চোখ টিপি,
মালিনি দ্যাখা হবে ঘোর সন্ধ্যায়
পোয়াতি নদি মা হবে কাব্যিকতায়।

 

আমার কবিতা ও রচনা লিখার সহজ কলাকৌশল

স্যালুলয়েডের ফিতায় তীক্ষ চোখ চুরি করে যায় প্রতিনিয়ত স্বপ্নচুড়ার দ্যাশে
যে আলো আসে গাছের ফাঁক মাড়িয়ে, যেখানে সবুজে সবুজে সঙ্গমে রতিখেলায়-
মেতে উঠে কপোতের বন, বাঙলার বিধবা অরণ্যে, মজা নদিতে সন্ধি করে কুচ কুচ ব্যাঙাচি
কেউ কি জেগে ওঠে, চেয়ে দ্যাখে ধ্র“পদি’র ন্যাড়ায় স্বপ্নবন্ধি-

শেঁকড়ের সন্ধ্যানে আমরা যখন; মোড়ক উন্মোচনের নেশায় মত্ত-আমাদের
অস্তিত্বসংকট ও বিবিধ ধর্ম পরিচয়, ধর্মান্ধতার কূপমণ্ডকতার জালে বন্ধি হই
তখনো নতুন করে মনে হয়-আমাদের নাগরিকত্বের পরিচয়দাতা হয় অন্যদেশ
এ বড় লজ্জা, সেই লজ্জায় ডুবে মরি-প্লিজ…
আমাদের নাগরিকত্বের কার্ড ফিরিয়ে নিন।
চাঁদ ঘুমায়, ঘুমায় সকল সন্ধ্যা

প্রজাপতির সৌরভ মাখা মায়াবি ঠোঁটের কোণে রাত্রি জেগে থাকে
সম্ভ্রম খোলে লাজুক চোখ-ইর্ষায় কাতর হই,
ও মেঘ-মেঘালিকা
বাঁক ফেরো, সাঁঝনদিতে ডুব সাঁতার খেলি।

বাঁকা কাঁস্তে বাঁকা চোখ, স্তম্ভিত হোক আঁধার রাত্রির বন্যায়
খুন হই, উবু জমিনের উর্বালায়Ñশান নেই বহু জনম ধাঁরালো স্বপ্নতে,
ভুতাভুতা চারপাশ-
সূর্য্যদয়ের সকাল, বিচ্ছিরি ঠেঁকে।

কতো লোকই নিখোঁজ হয় দৈনিকের পাতায়
ফুটপাত পথেঘাটে পোস্টার আঁকে।
আমি যদি হতে পারতাম!
সেদিনের সন্ধ্যের মতো গণিকা’র সাপ্তাহিক হাটের খদ্দর।

শৈশব আমার বাড়ন্ত উদারতা

রান্নাঘরের নিষিদ্ধ অন্ধকার, চারপায়া চৌকির নিচে মশাসমেত আমার রাত্রিবাস,-মা জোনাক পোকার মিটিমিটি আলোয় পিলের বড়ি লুকাতো, বাবার চোখ খোঁজতো মফস্বলের অলিগলি। যখন আলো ছড়ালো রাস্তায়, নাকের নিচে একচিলতে গোফগজালো, সে কি লজ্জা… বড় হয়ে গ্যাছি। ব্লেডে কুচি কুচি কাটি স্তনের মাংস, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ওজন করি। পাক্কা সাতদিন মুখে হাত চেপে চলি। যাকে ছিলো ভিষণ ভয়, হাগিমুতি শুতে যাই পরস্পর একিসাথে।

 

জলকাব্য

কেউ একজন বলেছিলো বহুবছর আগে
অথবা সেইতো সেদিন জেনো
তোমার দু’চোখের অশ্রু আমায় দেবে?
বলেছিলাম হেসেই কিন্তু কেন
কৌঁটাতে অশ্র“ জমাট হবে

হরিণ উড়ে রূপকুমারির দ্যাশে,অথবা আপেল চাষ-লিচুর বোটায় সমস্ত সুখ

(কাকের চোখে সোনালি স্বপ্ন, মেঘ-রোদ-বিষটির ফোঁটায় উড়ে এসে জুড়ে বসেছে-একটা ধবল কাক)

 

স্বয়ং নিজেতেই ঈশ্বর-

দলছুট হরিণ চোখ একাকি উড়ে উড়ে প্রজাপতির পাখা, শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে, ঘুম ঘুম দৃষ্টি বেশ্যার খোলা জানালার পাশে এসে দাঁড়ায়। বেলুন ফোলা দিন-দুরন্ত নেশায় পোকাদের আশ্রমে বাধ সাধে। স্বভাবজাত চিন্তাচেতনায় বিস্তর ফারাক বরং স্বপ্নের কথা বলি-স্বপ্নতো অনেক, যা স্বাপ্নিক জালে ধরা দ্যায় না। তবু দু’চোখ স্বপ্ন দ্যাখায়, ঝলসানো ভ্রম… ভ্রম মোনালিসার হাসি। প্রতিরাত অতপর… তারপর হয়ে যায়-অমিমাংসিত রহস্যে আমি গোগ্রাসে গিলে ফেলি এ্যালকোহলের তেঁতো স্বাদ, বুদ হতে থাকি। ইচ্ছে ঘুড়ির মাঝে লাটিমের চিন চিন ব্যথায় আমার মুখের ডান পাশ অবশ হতে থাকে। ছোট হতে থাকি,-ছোট করে ফেলি অগ্রজ অসিম। পড়ে থাকি আস্তাকুড়ে নোঙ্গরহীন মাঝ নদি, এবার বলি অন্যপ্রসঙ্গে-আপেলের চাষ সহজলভ্য নয় এ দেশে, বড় কঠিন সময়ে সেচ দেয়া হয় উর্বরা জমিনে, ফলে আপেলের বদলে যা জন্ম নেয় তা হয় আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি… ইত্যাদি। যুগ তিন এক পর বা তারও কিছুটা সময় বেশি বাঙলার তামাটে,-লিচু মুখে পুরে, চুষতে চুষতে তেঁতো ভাব যতক্ষণ না আসে মুখে বুলি আওড়ায় জটিল অথবা নিখাদ পানির মতো স্বচ্ছ সহজ কোন বিষয় নিয়ে, সেদিন লোকাল সিটিং (হাস্যকর)! বাসের কন্ট্রাকটার এক ষাটোর্ধকে রাজাকার বলতেই শরিরের সমস্ত লোমকূপ খাড়া হয়ে ওঠে-অতএব, মুখে ভাষার খই ফোঁটাই এবং বেমালুম ভুলে যাই আমার আপেল চাষের তত্ত¡কথা অথবা লিচুর বোটায় সমস্ত সুখ বিষয়ক পদ্যে’র খুটিনাটি।

শেয়ার করুন: