আকাশে উড়ে সাইকেলের ডানা
আগন্তুক সময়ের প্রতিবিম্ব সামনে দাঁড়ালেই অচেনা ঠেকে,
সাইকেলের ডানায় ভেসে যায় আগামী-স্তব্ধতা,
আকাশ পাড়ি দেয় মেঘ!
একপশলা বৃষ্টি এইসব দিন শেষে বাড়ি ফেরাদের দলে।
অনিকেত সময় বিমূর্ত পরে থাকি মেঘদলে,
উড়াউড়ি বেলায় অথবা জোনাক জ্বলা সন্ধ্যায়
নোনা রক্ত পলি জমায় কাঁটাতারে,
সবুজের রাণি লাল ঠোঁটে বয়ে বেড়ায় বৃত্তের রক্তাক্ত শরীর।
ফেলানি ঝুলে থাকে সীমান্তের কাঁটাতারে।
প্রাচীরে চিরচেনা ব্যাধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
খুন হই প্রতিক্ষণ বর্বরতায়।
দেহে আমার টুকরো টুকরো
জমাট বাঁধা রক্ত পুঁজ হয়ে বিমূর্ততা প্রসব করে।
ক্রসফায়ার কেড়ে নেয় নববধূর সখের পুতুল!
উঠানে দাঁড়ায় একচিলতে আকাশ
রোদ ও অসভ্যতা
দুনিয়া বিদীর্ণ বৃষ্টিপ্রপাত-জল উপাখ্যানে, তরুণি মেলায়িত দৃষ্টি
চেয়ে দেখে ষোড়শী চোখ-মাদকতায় গ্রাস করে কিংকর্তব্যবিমুখতা।
নিশ্চুপে জমায়িত কষ্ট, শঙ্খচিল উড়ে বসে পাহাড়ে-সবুজের চাষ হয় আফিম বনে
বয়ে বেড়ায় বেদনার্ত বাংলার আনাচে কানাচে-সীমান্তে লাল সূর্য।
রোদ এসে বসে থাকে চুপটি করে সারস সংহারে, সংবেদনচিত্তে
প্রকাশিত হয় উর্বাসা শষ্যে, অসভ্য আলোকিত সত্য।
এখনো গ্রহণ কাটেনি-চায়ের কাপে জমে থাকা সুখ, আন্দোলিত হয়।
বারবার সময়ের উল্টো স্রোতে বহমান নটিদের নটকীর্তন গায়ে সারি সারি পিঁপড়াদের মিছিল।