কুয়াশা সময়ে
কতো কতো নতুন মুখ হাঁটছে, কচি চোখ খুঁজছে
এখানে হাট বসে প্রতিবছর-ভাত ফোটা যৌবনে
সারিবদ্ধ ভোর তাকে তাকে
শহীদ কাদরী, তসলিমা, রৌদ্র, আশরাফ, কামরুজ্জামান
এখানেই স্মৃতিরা হামাগুড়ি দিচ্ছে
গত ফাল্গুনের আততায়ী বাতাস ঘুরছে
আমরা-আমি এখানেই পথ ছুঁই-ঘাস ছুঁই
পই পই সবুজে শিশির জমে
সৈয়দ হক, রফিক আজাদ, রতন তনু, ওয়ালী কিরন
পরতে পরতে মিশে থাকে
মেলা হয় মিলন যজ্ঞে
একজন আগন্তুক পথ হাঁটি-পথ হাঁটি বন্ধুর সময়ে
হুমায়ূন আজাদ, অভিজিৎ কিংবা দীপন রয়ে যায় চিত্তে
ধূয়াশা কুয়াশায় জমে থাকি
জমে থাকে ভাতঘুমে
না কথা উপাখ্যান
আমি হয়তো কবিতা পড়ি না, তোমাকে পড়ি
আমি হয়তো হৃদয় ছুঁই না-তোমাকে ছুঁই
যে আমি যেখানে উপুড় হই চুমু খাই: মিনার ন্যায় গম্বুজ
শিশু মুখপুরে খায় রক্তিম লেলিহান
আমিও নত হই সিজদার ন্যায়-পিতামহের ন্যায়
অথবা তারও আগে-আরো আগে
আমি ফিরে ফিরে চাই ভুলে যাই জ্ঞানে
অজ্ঞান হই তোমার দরোজায়, তুমি ফুলে ওঠো লজ্জ্বায়
হা করে ঢেলে দাও অব্যক্ত শষ্যদানা
পাতার শরীর আঁকি-শরীরের ভাজে ভাজে
ভস্ম হই; চিরেচুরে খাই নখের আচড়ে ক্ষত হওয়া মাংস
হই মাংসাশি
রবীন্দ্রনাথ অথবা প্রিয় সকাল
বাতাসের গায় সোনারোদ, স্নিগ্ধ মেঘহীন মেঘেদের লুকোচুরি
এক আকাশ সবুজ নিয়ে ক্লান্ত পথিক হাঁটি-সোনারোদ, বালিয়ারী হাঁস
মুঠো মুঠো রৌদ্দুরে বিষণœতা চারপাশ জুড়ে সময়
ভাবনা, স্মৃতিকথা নস্টালজিক: ম্যাজিক সামাজিকতা
এই যে এতো এতো আলো-ভালো থাকার-কষ্টে থাকার
অথবা চোখা ধাঁধানো
মেঘকালো কৃষ্ণ
তার সাথে আমার অনেক অনেক স্মৃতি আছে
অথবা নাই
যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়
যাচ্ছি যাবো কথাগুলোর
মাঝে ভীষণ ফারাক। তুমিই শিখালে
বুঝলাম কখনো কখনো না চাইলেও
দায়িত্ব নিতে হয়
অথবা দায়িত্ববান হতে হয়
যেমনটি কোনো রাতে তুমি এসে হেসে বললে
সূর্য ওঠার আগমুহ‚র্ত পর্যন্ত ভাবলাম
নতুন সকালের জন্য আমাকে অনেক কিছু
করতে হবে
যেমন আমি চাই
তুমি না চাইলেও
যাচ্ছো চলে যাবে চলে বাধা দেবো না
ফিরে আসবে এও জানি
কলিগুলো মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে